শিশু থেকে বুড়ো সবার মনে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি প্রেম জাগিয়ে তোলায় আজীবন নিবেদিত ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন ছিল ১৬ মার্চ।
ষাট দশকের শুরু থেকে আমৃত্যু ছায়ানটের সাথে যুক্ত থেকে অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে গান শিখিয়েছেন, জাগিয়েছেন সংগীতের প্রতি অনুরাগ। এছাড়া সাংবাদিকতা করেছেন। নানা বিষয়ে তার লেখার গভীর চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে।
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত মানুষটি ছায়ানট ছাড়া অন্য অনেক সংগঠনে অবদান রেখেছেন।
প্রতিবারের মতো এবারও ওয়াহিদুল হকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নালন্দা ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া’ শিরোনামে পাঁচদিন ব্যাপী উৎসব করেছে।
১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার নালন্দার শিশুদের করা প্রদর্শনীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় উৎসবের আয়োজন। দ্বীপ জ্বালানোর মধ্যে দিয়ে শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা করেন।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘ওয়াহিদুল হক যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটারই বাস্তবায়ন করতে দেখছি নালন্দাতে। আমাদের আশার জায়গা তৈরি হচ্ছে। এর কারণ, আজকের শিশুরাই নেতৃত্ব দেবে আগামী বাংলাদেশের।”
উদ্বোধনের সময় নালন্দার শিশুরা সঙ্গীত পরিবেশন করে।
প্রদর্শনীতে ছিল নালন্দার শিশুদের হাতে গড়া ফুলদানি, ডায়েরি ইত্যাদি।
গত ১৯ ও ২০ মার্চ ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন উপলক্ষে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় সঙ্গীত অনুষ্ঠান।
১৯ মার্চ অঙ্কুর (প্লে) থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশু ও তাদের অভিভাবক এবং ২০ মার্চ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিশু ও তাদের অভিভাবকরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে গান, নাচ, আদিবাসী নৃত্য, ছড়া, নাটক, গীতিনাট্য (পুতুল বিয়ে, ইতিহাস কথা কয়), বাউল নাচ পরিবেশন করে নালন্দার শিশু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নালন্দা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোমেনা বেগম, ছায়ানটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিক বেলাল, রবীন্দ্র সংঙ্গীত শিল্পী লাইসা আহমেদ লিসা, সানজীদা খাতুন।