TRENDING:

ভালো থেকো বাবা
আমি পাখি হবো
সব শিশুর আছে আলাদা ব্যক্তিত্ব...
Pritha Pronodona
  • Home
  • MY WRITING
  • My Art Work
  • Diary
  • News
  • Photograpy
  • Video
  • Activity

Select Page

শুভ জন্মদিন আনিসুজ্জামান

Posted by pritha | Jun 22, 2017 | Diary | 0

শুভ জন্মদিন আনিসুজ্জামান
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামানের ৮০তম জন্মদিন শনিবার।

আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এ টি এম মোয়াজ্জেম। তিনি ছিলেন বিখ্যাত হোমিও চিকিৎসক। তার মার নাম সৈয়দা খাতুন। সৈয়দা খাতুন লেখালেখি করতে ভালোবাসতেন।

পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার বড় বোনও নিয়মিত কবিতা লিখতেন।

তিনি কলকাতার পার্ক সার্কাস হাইস্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। সেখানে তৃতীয় শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। দেশভাগের পরে এদেশে এসে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন খুলনা জেলা স্কুলে।

এরপর তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় ভর্তি হন প্রিয়নাথ হাইস্কুলে। আনিসুজ্জামান ছিলেন প্রিয়নাথ স্কুলের শেষ ব্যাচ। কারণ তাদের ব্যাচের পরেই ওই স্কুলটি সরকারি হয়ে যায় এবং এর নাম-পরিবর্তন করে রাখা হয় নবাবপুর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। সেখান থেকে ১৯৫১ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৫৩ সালে আইএ পাস করে বাংলায় অনার্স নিয়ে বিএ ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১৯৫৭ সালে এমএ পাস করার পর বাংলা একাডেমির প্রথম গবেষণা বৃত্তি পান আনিসুজ্জামান। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শূন্যতায় বাংলা একাডেমির বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্বস্বরূপ “নীলকান্ত সরকার” বৃত্তি লাভ করেন।

১৯৫৮ সালে আনিসুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারার’ ওপর পিএইচডি করার জন্য যোগ দেন। এরপর তিনি ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি নেন।

আনিসুজ্জামান ছিলেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক। মাত্র ২২ বছর বয়সে বাংলা একাডেমির বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে আনিসুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেন। প্রথমে তার অ্যাডহক ভিত্তিতে চাকরি হলো তিন মাসের। কথা ছিল গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হলেই চাকরি শেষ হয়ে যাবে। সেই চাকরি শেষ হয়ে গেলে, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণা বৃত্তি পেলেন। এরপর তিনি আবার যোগ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায়। ১৯৬৯ সালের জুন মাসে আনিসুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অবস্থান করেছিলেন। পরে ভারতে গিয়ে তিনি প্রথমে শরণার্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন।

তিনি ১৯৭৪-৭৫ সালে কমনওয়েলথ অ্যাকাডেমি স্টাফ ফেলো হিসেবে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে গবেষণা করেন। এরপর তিনি জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে অংশ নেন ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে। পরে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে আবার যুক্ত হন। তিনি মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ, প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন ।

আনিসুজ্জামান প্রত্যক্ষভাবে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মুজিবনগরে তিনি তাজউদ্দীনের বিচক্ষণ কর্মকাণ্ড সরেজমিনে কাছ থেকে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমান এর  সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মহান ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।

আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, আমার একাত্তর, আমার চোখে, মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর, নারীর কথা ইত্যাদি।

আনিসুজ্জামান বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদকসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন।

তিনি এখনো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। তার জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাই।

Share:

Previousমাউরির সাথে কিছুক্ষণ
Next‘এটা শিক্ষা ব্যবস্থা নয়, পরীক্ষা ব্যবস্থা’

About The Author

pritha

pritha

Related Posts

ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতেয়ার

ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতেয়ার

22/06/2017

দুর্দান্ত জন্মদিনে

দুর্দান্ত জন্মদিনে

22/06/2017

ভালোবাসি সুমি আপু

ভালোবাসি সুমি আপু

22/06/2017

একজন অদম্য মানুষ হকিং

একজন অদম্য মানুষ হকিং

28/03/2018

Video

https://www.youtube.com/watch?v=qysn-ASXClw

পৃথা প্রণোদনা

Photo: Giacomo Pirozzi

Pritha Pronodona

Studies Microbiology at BRAC University .Former Child Journalist at Hello.bdnews24.com  From 24 october 2013 to 2020.

Winner Meena Media Award 2018 & Meena Media Award 2019.under-18 For Creative Work in Print/Online Media.Successfully completed BASIC & FOUNDATION COURSE OF PHOTOGRAPHY from PATHSHALA (south Asian Media Institute), STREET PHOTOGRAPHY WORKSHOP from Bishow

Meena Media Award 2019

Shahitto Kendro. Successfully attended Adolescent Development and Participation (ADAP) Regional Network Meeting held in Kathmandu,12-15 September 2017 which was arranged UNICEF Regional Office for South Asia. Successfully participated a workshop on `Photography for Adolescence’ organized by UNICEF Regional Office of South Asian and UNICEF Bangladesh at 2018. Successfully attended  workshop on Training on Techniques of Child Participation in  Electronic Media’ & `Follow up Training and Mentoring of Children Participating in Electronic Media(Part-I & II)’ under the `Advocacy and Communication for Children and Women (4th Phase) project held at Dhaka from arranged by National Institute of Mass Communication, Dhaka, Ministry of Information.

মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯

পৃথা প্রণোদনা

মাইক্রোবায়োলজিতে পড়াশোনা করছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে।শিশু সাংবাদিক হিসেবে  ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হ্যালো-তে। ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং’ ক্যাটাগরিতে ‘টাকার বিনিময়ে বন্ধকে শৈশব’ ও ‘দূর হোক লিঙ্গ বৈষম্য’ লেখার জন্য পৃথা ইউনিসেভ আয়োজিত মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড লাভ করে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে। পাঠশালা (সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনিস্টিটিউট) থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বেসিক ও ফাউন্ডেশন কোর্স। বাংলাদেশ গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) থেকে গ্রহণ করেছেন সাংবাদিকতার কয়েকটি বিশেষ কোর্স।

মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮

২০১৭ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ইউনিসেফ-এর ‘এডোলসেন্স ডেভলপমেন্ট পার্টিসিপেশন’ বিষয়ক চারদিনের সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৮ সালে ইউনিসেফ রিজওনাল অফিস অব সাউথ এশিয়ান এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ফটোগ্রাফি ফর এডোলসেন্স’ বিষয়ক ওয়ার্কশপ সফলতার সঙ্গে সমাপ্ত করেন। ‘স্টিট ফটোগ্রাফি’ বিষয়ক একদিনের ওয়ার্কশপ সমাপ্ত করেছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে। ছবি আঁকা, লেখালেখি, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় অবসর কাটানো পছন্দ ।  নিজের কাজ পরিশ্রমের মাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে সফলভাবে সম্পন্ন করাতে আগ্রহী বেশি। স্বপ্ন দেখেন বড় কোনো কাজ নিয়ে যা নিজের জীবনকে সার্থক করার পাশাপাশি মানুষের জন্যও কল্যাণ বয়ে আনবে।

e-mail                   Instragram                     Twitter

Recent Posts

  • এক কাপ চা (aesthetic jwellery)
  • Friends are reason of smile
  • টাকার বিনিময়ে বন্ধকে শৈশব ( মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ এ পুরস্কৃত লেখা)
  • শিশুর সামনে করো না জবাই
  • প্রাণের বন্ধুরা

Categories

  • Activity (13)
  • Diary (10)
  • My Art Work (2)
  • MY WRITING (100)
  • News (20)
  • Photograpy (2)
  • Uncategorized (1)
  • Video (14)

Recent Posts

  • এক কাপ চা (aesthetic jwellery)
  • Friends are reason of smile
  • টাকার বিনিময়ে বন্ধকে শৈশব ( মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ এ পুরস্কৃত লেখা)
  • শিশুর সামনে করো না জবাই
  • প্রাণের বন্ধুরা

Categories

  • Activity
  • Diary
  • My Art Work
  • MY WRITING
  • News
  • Photograpy
  • Uncategorized
  • Video

Search

Designed by Elegant Themes | Powered by WordPress