বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হ্যালো বিভাগে সাংবাদিকতা করছি বছর পার হয়েছে। হ্যালোতে শিশু বিষয়ক সংবাদ লিখি।
হ্যালোতে লিখতে আমার ভালো লাগে। বেশি ভালো লাগে যখন বিডিনিউজে শিশুদের সাইটে কাজ করি শুনে কেউ কেউ চোখ কপালে তুলে বলে, “তুমি বিডিনিউজে সাংবাদিকতা কর? ভালো তো। পড়াশোনার পাশাপাশি তুমি দেখি অনেক কিছু শিখছ। এগিয়ে যাও।”
এসব শুনে আমি অনুপ্রেরণা পাই।
একটা সময় পরীক্ষার খাতায় প্রতিবেদন লিখতে বই থেকে প্রতিবেদন মুখস্ত করতাম। কিন্তু এখন আর মুখস্ত করি না। আসলে করা লাগে না, মাঝে মাঝে নিয়মটা দেখি। হ্যালোতে প্রতিবেদন, সংবাদ আর শিশু বিষয়ক নানান ধরণের অনুচ্ছেদ লিখতে লিখতে অনেক নিয়মই শিখে গেছি। মাখে মাঝে বন্ধুরা বলে তাদের প্রতিবেদন লেখার ধরন শিখিয়ে দেওয়ার জন্য। তখন আমার বেশ লাগে। হ্যালো আমার সহশিক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হ্যালোর হয়ে নানা উৎসবেও যোগ দিয়েছি নানা সময়। এগুলো আমার ছোট জীবনে এক একটা বড় অভিজ্ঞতা বলা যায়।
রোববার আরও এক অভিজ্ঞতা যোগ হলো আমার ঝুলিতে। সেদিন ছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের দশম জন্মদিন। র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে উদযাপিত হয় বিডিনিউজের দুর্দান্ত ১০ বছর।
উদযাপনের সঙ্গী হিসেবে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ রাজনৈতিক দলের নীতি-নির্ধারক, বিচারপতি, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মী, ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তাসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান চলাকালে প্রতিটি মুহূর্ত আমি খুব উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছিল, আমার নিজেরই জন্মদিন। আসলেই তো তাই। এটা তো আমারই জন্মদিন, আমাদের জন্মদিন। অনুষ্ঠানে আমার সাথে ছিল শিশু সাংবাদিক পৃথা প্রণোদনা। দেখা হয়েছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পরিবারের অনেকের সাথে, কথা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সহকর্মী বন্ধুদের মধ্যে সাদিক ইভান, আজমল তানজিম সাকির, আমিনুর রহমান হৃদয়সহ অনেকের সাথে সেদিন কথা হয়।
তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। কেউ কেউ আমার সাথে ওই দিনের অনুভূতি শেয়ার করেছিল।
কথা হয় প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ অনেকের সাথে। নীল শাড়িতে হাস্যোজ্জল মুখ নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। তাকে শাড়িতে দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আমরা সে দিন অনেক ছবি তুলেছিলাম। আর জন্মদিনে ছবি তোলার আনন্দটাই আলাদা। অনুষ্ঠানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বক্তব্য শুনে বেশ ভালো লাগে। তবে বক্তব্যের এক পর্যায়ে শুনলাম আমাদের পত্রিকার বিভিন্ন সংবাদগুলো কপি করে বিভিন্নি পত্রিকায় ছাপানো হয়। শুনে বেশ খারাপ লাগে। বড়রা এমন করলে আমরা কাদের কাছে শিখব?