ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত ‘ঈদ আসছে’ এই কথাটা শুনলেই খুব আনন্দ লাগে। আমার ঈদের দিনটা থেকেও বেশি ভালো লাগে ঈদের আগের দিনের রাতেটা। যেটা সকলের কাছে ‘চাঁদ রাত’ হিসেবে পরিচিত।
ছোটবেলায় আমি ঈদের আগের দিন রাতে আমার বন্ধুদের জন্য, আত্মীয়দের জন্য নিজের হাতে গাছের পাতা, বিভিন্ন রকমের রঙ, ফুলের পাপড়ি এসব দিয়ে নানা রকম কার্ড তৈরি করতাম। ঈদে সবাইকেক ঈদ কার্ড দেওয়াটাই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার।
এছাড়াও ঈদের আগের দিন রাতে মেহেদি দেওয়ার একটা ধুম পড়ে যেত। একেকে জনের হাতে একেক নকশায় মেহেদি দেওয়া দেখতে খুব ভালো লাগত।
ঈদের সময় বন্ধুদের মধ্যে কে কয়টা জামা কিনলাম আর কে কত টাকা ঈদের বকশিস (সালামি) পেলাম এই নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা লেগে যেত।
ঈদের আগের দিন পরিবারের সব কাজে সাহায্যে করা আর এই প্রতিযোগিতার মধ্যেই ছিল আমার আনন্দ!
আর এখন আমি আস্তে আস্তে বড় হচ্ছি। বড় হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে আমার চিন্তাধারার। এছাড়া্ও আমি অনেকদিন ধরেই লিখছি হ্যালোতে। হ্যালোতে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়ই আমি মুখোমুখি হয়েছি গরিব শিশুদের। শুনেছি তাদের দুঃখের ও সুখের গল্পগুলো।
এখন আমার ওদেরকে নিয়েই ভাবতে ইচ্ছা করে। এমন কিছু করতে ইচ্ছে করে যা তাদের দুঃখের গল্পগুলোকে সুখে পরিণত করবে। যা তাদের জীবনেকে অন্তত একদিনের জন্য হলেও আনন্দে ভরপুর করে দেবে।
এখন ঈদে জামা কেনার আগে মনে হয় ওদের কথা। মনে প্রশ্ন জাগে, ওরা কী পারছে আমার মতো নতুন জামা কিনতে?
যখন মাঝে মাঝে নিজের মন থেকেই উওর আসে, হয়তো পারছে না। তখন মনে হয়, আমি তো পারি আমার চারটা জামা থেকে ওদেরকে দুটো জামা দিয়ে দিতে। আমার সালামির টাকার একটা অংশ ওদের সাথে ভাগাভাগি করতে।
আমরা চাইলে অনেক কিছুই পারি। আসুন সকলে মিলে পথশিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিই।