শুনেছি, আমার নাম রাখা নিয়ে সেকি কাণ্ড! একেক জন একেকটা নাম দেয়। শেষমেষ নয় দিন বয়সে আকিকা দিয়ে ধুমধাম করে নাম রাখা হয় পৃথা প্রণোদনা, মানে পৃথিবীর প্রেরণা।

আকিকা দিলেও ধুমধাম করে জন্মদিন করা পছন্দ করে না বাবা। বড় অনুষ্ঠান করলে আশেপাশের বাড়ির গরিব বাচ্চাদের মন খারাপ হবে। তাই বাবার ইচ্ছায় জন্মদিনে ঝলমলে উৎসব হয় না।

সবার মতোই আমার প্রিয় ছড়া ছিল ‘ওই দেখা যায় তালগাছ’ আর ‘বাপুরাম সাপুড়ে।’ বেশি খেলতাম কথা বলা পুতুল নিয়ে।

এখন আমার ছোট্ট ফুটফুটে একটা বোন আছে। তার সাথে দুষ্টুমি, মারামারি আর গল্প করেই কাটে আমার দিন।

কিন্তু আমরা বাবাকে সব সময় কাছে পাই না। সরকারি চাকরি করায় ঢাকার বাইরে থাকতে হয় তাকে। ছুটিতে বাবার কাছে আমরা ঘুরতে যাই। তখন অনেক মজা হয়।

আগে বাবার শখ ছিল পাখি পোষা, অনেক পাখি ছিল তার। বাবার দেখাদেখি আমিও পাখিদের সাথে খেলতাম, কথা বলতাম, খাওয়াতাম।

একদিন বাবা বাড়ি ফিরে পাখি ভরা খাঁচাগুলো আর আমাকে নিয়ে ছাদে গেলেন। বাবা বলল, ‘পাখি মানেই আকাশে উড়বে, ওদের খাঁচায় বন্দি করে রাখা অন্যায়।’

বাবা আর আমি মিলে ছেড়ে দিয়েছিলাম সব পাখি।