আমাদের দেশ ষড়ঋতুর দেশ। এই ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি হলো ‘শীত।’

শীতের সময় প্রকৃতির রুপ বদলে যায়। চারদিক ঢেকে যায় কুয়াশার চাদরে। এই সময় ধুম পড়ে পিঠাপুলির।

শীতে আমাদের প্রকৃতির আরও সুন্দর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে অতিথি পাখিদের আগমনে। তাদের আগমনে জলাশয়, বিল, হাওর, পুকুরের সৌন্দর্য বদলে যায়। নাম না জানা বাহারি রঙের পাখিরা মুখরিত করে আমাদের তল্লাট।

বাংলাদেশে অতি পরিচিতি অতিথি পাখি নর্দান পিনটেইল। প্রায় প্রতি

বছরই এদের দেখা যায়। এছাড়া বালি হাঁস, খয়রা চকাচকি, কার্লিউ, বুনো হাঁস, ছোট সারস পাখি, বড় সারস পাখি, হেরন, নিশাচর হেরন, ডুবুরি পাখি, গায়ক রেন পাখি, রাজসরালি, পাতিকুট, গ্যাডওয়াল, পিনটেইলসহ আরো অসংখ্য প্রজাতির পাখিরা ভিড় জমায়।

অতিথি পাখিরা বেশির ভাগ আসে শীতের দেশ থেকে। এসব পাখিরা একটা নির্দিষ্ট পথ দিয়ে আসে আমাদের দেশে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বতের লাদাখ থেকে সেন্ট্রাল এশিয়ান ইন্ডিয়ান ফ্লাইওয়ে দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে।

শীতের দেশ থেকে আমাদের দেশে আসার কারণ হল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। এছাড়া সে সময় ঠাণ্ডা অঞ্চলে খাবারের সংকটও দেখা যায়। এজন্য তারা ভিড় জমায় আমাদের অঞ্চলে।

শীত শেষে আবার ফিরে যার যার অঞ্চলে।