বসন্ত নিয়ে কবি সাহিত্যিকদের গান, কবিতার অভাব নেই। ঋতুরাজ বলে কথা। শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্ত চলে এসেছে। প্রকৃতিতে বইছে বাসন্তী হাওয়া। বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির রুপ, রঙ, গন্ধ।

বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস মিলে বসন্ত কাল। বসন্তকে ঋতুরাজও বলা হয়। কোকিল গাইছে গাছে গাছে। প্রকৃতি নেচে উঠেছে সেই সুরের মূর্ছনায়।

গাছে গাছে কচি পাতা। আর চারদিকে হিমেল বাতাসের দোলা। অশোক, পলাশ, শিমুলের রঙে টকটকে চারপাশ। কী দারুণ প্রকৃতি।

গ্রামে বসন্তের সৌন্দর্য অপার। তবে ইট-কাঠের শহর ঢাকায় যে এর ছোঁয়া লাগবে না তা কিন্তু নয়।

মেয়েরা বাসন্তী শাড়ি আর খোঁপায় গাঁদা গুঁজে বরণ করে বসন্তকে। ছেলেরা হলুদ, সবুজ পাঞ্জাবী পড়ে বেড়িয়ে যায় বসন্ত বরণে।

টিভি চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায় উৎসব উদযাপনের নানা চিত্র।

রাজধানীর শাহাবাগ, টিএসসি, রমনাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা তরুণ-তরুণীদের আনাগোনায় সরগরম হয়ে থাকে।

এছাড়া জেলায় জেলায়ও পালিত হয় বসন্ত উৎসব।

নেত্রকোণাতেও পালিত হয়েছে বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব। এখানে কবিতা পাঠ করেন স্থানীয় কবি, সাহিত্যিকরা।

পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব এখন শুধু আনন্দে উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এটি জড়িয়ে আছে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যে।