আমরা কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ঠিক করি চাঁদ রাতে সবাই মিলে একসঙ্গে মেহেদি দেবো আর ইফতার করব।
যেই ভাবা সেই কাজ। আমরা যেখানে আর্ট শিখি সেই একাডেমির আর্ট শিক্ষক লিটন স্যারকে জানালাম। তিনি বেশ উৎসাহ দিলেন। তিনি তার বাড়িতেই নিমন্ত্রণ করলেন আমাদের।
সবাই মিলে আমরা ২৫ জনের মতো। প্রত্যেকে কিছু কিছু ইফতার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করি আমরা। আমি বাড়িতে বানানো কেক নিয়ে যাই। সায়মন আনে খেঁজুর আর জিলাপী, রিদোয়ান আনে ট্যাংক শরবত, ইসরাক আনে বড়া ও বেগুনি।
স্যার উত্তর কাফরুল শিমুলতলা এলাকার ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বিকেল ৪টার দিকে আমরা স্যারের বাড়িতে চলে যাই। বাড়িটি বেশ সুন্দর ও খোলামেলা। বাড়ির সামনে বড় উঠোন। নানা জাতের ফল ও ফুলের গাছ রয়েছে। এমন বাড়ি এখন ঢাকাতে তেমন দেখা যায় না।
আমরা সবাই উঠোনে বসে গল্প করতে থাকি। আমরা যাওয়ার পরপরই মেহেদি দেওয়া শুরু হয়। স্যারের স্ত্রী সোনিয়া খুবই আন্তরিক। তিনি আমাদের সবাইকে মেহেদি পরিয়ে দেন।
উনি খুব সুন্দর মেহেদি পরান। একেকজনের দেওয়া শেষ হচ্ছে আর আমরা সবাই অবাক হচ্ছি। আমাদের আনন্দটাও জমে উঠছিল। এর ফাঁকে স্যার আমাদের সঙ্গে গল্প করছিলেন।
উনি গল্প করলেন তার ছোটবেলার কথা। তাদের ছোটবেলায় গাছ থেকে মেহেদি পাতা তুলে বেটে তারপর হাতে লাগাতে হতো।
যখন আজান দিল তখন সবাই মিলে ইফতার করি। কার ম্যানুটা ভাল হয়েছে তা নিয়ে আমাদের মধ্যে চলে নানা আলোচনা। আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তাই ঈদের চাঁদ আমরা দেখতে পারিনি। হঠাৎ একজন বলল চাঁদ উঠেছে। টেলিভিশনেও গান বেজে উঠল। তখন আমরাও সবাই মিলে হৈচৈ করতে থাকলাম। খুব মজা হলো ইফতার ও মেহেদি উৎসবে।