আমার জীবনে অন্য কিছুর অভাব থাকলেও বন্ধুর অভাব নেই। ছোট এই জীবনে অনেক বন্ধু পেয়েছি।

তবুও সেরা বন্ধু বলে একটা কথা আছে। যাকে কিনা ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলে।

একজন হল আমার ছোটবেলার বন্ধু তানজুম চৌধুরী আর আরেক জন হল আমার অবসরের বন্ধু ‘গল্পের বই।’

আমি বই পড়তে খুব ভালোবাসি। সবচেয়ে ভালো লাগে রম্য লেখা পড়তে। মন খারাপ থাকলেই বই নিয়ে বসে যাই। একা একা হা হা হো হো করে হেসে উঠি। বেশ মজা পাই।

এখন বলি আমার মানুষ বন্ধু তানজুমের কথা। ও আমার শৈশবের বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই একজন আরেকজনের সাথে ছিলাম। এখনও আছি। দিনের অর্ধেক সময় কাটাই দুইজন একসাথে গল্প করে, দুষ্টুমি করে।

কিন্তু যেই সময় ও আমার সাথে থাকে না, তখন আমার সঙ্গী হয়ে থাকে গল্পের বই।

আমার অবসর সময়টা কাটাই এই বন্ধুর সাথে। এই বন্ধু বদলে দিয়েছে আমার জগৎটাকে। শিখিয়েছে কীভাবে ভাবনার জগৎটাকে বিস্তৃত করা যায়।

আমি যখন যেটা পড়ি তখন সেটা কল্পনাও করতে পারি। বই আমার কল্পনা শক্তিও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে বইয়ের চেয়ে তানজুমকে সময় বেশি দেই। ওর সঙ্গে কম কথা বললে বা দেখা কম হলে ও রাগ করে।

পড়ার চাপে আবার কখনও বা অন্য ব্যস্ততায় আমি বই পড়তে পারি না। তখন আমার কষ্টও হয়। তাই একটু অবসর পেলে বইয়ের কাছে ছুটে যাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কীভাবে কেটে যায় বুঝতেই পারি না।

তানজুম ও গল্পের বই এই দুই বন্ধুই সারাজীবন আমার সাথে ছিল, আছে ও থাকবে।

আমার মতো প্রত্যেক মানুষের জীবনে ভালো বন্ধু হিসেবে গল্পের বইকে বেছে নেওয়া উচিত। কারণ এই একমাত্র বন্ধু যার সাহয্যে মানুষ পারে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, সঠিক পথে যে যেতে এবং একজন ভালো মানুষ হতে। তাই হয়তো বলা হয় বই পড়ুন, জীবন গড়ুন।