আমাদের দেশে বর্তমানে অসংখ্য বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে শিশুদের মানুষ হওয়ার চেয়ে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়। এটি সব বিদ্যালয়ের প্রচলিত সমস্যা। বিদ্যালয়গুলোতে  শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও খুব একটা গড়ে উঠে না।

কিন্তু আমার স্কুল নালন্দা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিন বছর বয়সে মা বাবা আমাকে এখানে ভর্তি করান। এখন পর্যন্ত পড়ছি।

আমার মনে হয় সারাদেশে নালন্দা একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া হয়। এখানে শিক্ষকরা বন্ধুর মতো। তারা শিক্ষার্থীদের পড়ার পাশাপাশি মানুষ হওয়ার পেছনেও শ্রম দেন।

উনারা শিশুদের বোঝেন ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেন। এখানকার সব কিছু অন্য স্কুলের থেকে আলাদা। আমরা শিক্ষকদের স্যার বা ম্যাডাম ডাকি না, আপু মণি ও ভাইয়া বলি।

আমাদের প্রধান শিক্ষিকাকে একবার বলতে শুনেছিলাম, জিপিএ-পাঁচ সব না। মানুষ হওয়ার চেষ্টা কর। উনিই হয়তো প্রথম প্রধান শিক্ষিকা যিনি শিক্ষার্থীদের জিপিএ-পাঁচ পাওয়ার চেয়ে মানুষ হওয়াটাকে মুখ্য মনে করেন।

তারা এই বিশ্বাস মাথায় রেখে শিশুদের গড়ে তোলেন। শিশুদের সৃজনশীল কাজে যুক্ত করতে নালন্দার জুড়ি নেই। গল্প, ছড়া লেখা, নানান প্রকল্প তৈরি, নাটক লেখা ইত্যাদিতে উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়াও নাচ, গানেও তাদের যুক্ত রাখে।

আমি আমার বিদ্যালয়কে খুবই ভালোবাসি। সব বিদ্যালয়গুলো নালন্দার মতো হলে অনেক শিশুই হয়তো অযথা চাপ থেকে মুক্তি পেত।