তোমার আমার দেখা কারো গলায় জড়ানো যে সুন্দর মুক্তার মালাটি রয়েছে তার প্রতিটি মুক্তোর জীবন শুরু হয় ঝিনুকের বুকে। সেখানে সমুদ্রের তরল পদার্থ, ভেসে থাকা বালি বা খাবার গাদাগাদি হয়ে ঝিনুকের কোষে থাকে। দুর্লভ মুক্তাগুলোর মধ্যে সবগুলো দামি না হলেও জুয়েলারির উজ্জ্বল মুক্তার দাম খুব বেশি।

খাবার হিসেবে যে ঝিনুক ব্যবহার হয়, বৃষ্টির সময়টাতে তা আসে ভার্জনিয়ার মাসল্যান্ড বা জমাটবাধা জলের ওয়াশিংটন স্টেট থেকে। যাকে বলা হয় ‘সত্যিকারের ঝিনুক’। অবশ্য সত্যিকারের ঝিনুকের মাধ্যমে মুক্তা তৈরি করা সম্ভব ছিল। তার শরীরের বাহিরের অংশে এক ধরণের শক্ত সেল থকে যা তার প্রতিরক্ষা তৈরি করে। সেখানে তেমন কোন ঝলমলে বস্তু না থাকলেও নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুক্তা ঝিনুক’।

সব মহাসাগরের নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণ উপকূলবর্তী জলে ঝিনুক পরিবারের সত্যিকারের ঝিনুক ও মুক্তা ঝিনুক পাওয়া যায়। পীড়াদায়ক ঝিনুক স্পন্ডিলাশ এবং জিন ঝিনুক অ্যানোমিয়াকে কখনও কখনও এই শ্রেণির ধরা হয়।  

খাবারের জন্য দুহাজার বছর আগে থেকে সত্যিকারের ঝিনুক চাষ করা হচ্ছে। মূল্যবান মুক্তার জন্যই মুক্তা ঝিনুকের বিকাশ ঘটে। ঝিনুকের বাইরের অংশ দু ভাগ করা যায়। ওরা খাবার সময় এই খোলস খানিকটা খুলতে পারে।  

সত্যিকার ঝিনুকে খুব কমই মুক্ত পাওয়া যায়। কিন্তু ২০১৩ সালে একজন ব্রিটিশ লোক প্যাসিফিক ঝিনুকের ভেতর একটি ক্ষুদ্র বালুকাময় মুক্তা খুঁজে পায়। ইয়াহু থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, এর আগের বছরে নিউ অর্লিন্স-এ মারডি গ্রেস নামক এ ফুরতিবাজ লোক খাবারের ভেতর একটি ভাজা ঝিনুক থেকে এবং উত্তর ক্যারলিয়ান এক নারী ঝিনুকের পিজ্জা থেকে ঝিনুক আবিষ্কার করে। “যদিও সেগুলো মূল্যহীন ছিল, তবুও আমরা খাবার ঝিনুকগুলোকে মুক্তা মুক্ত রাখব” বলছিলেন, রেচেল টিপার, এসোশিয়েট ফুড এডিটর।