কাইয়ুম চৌধুরীর ৭৪তম জন্মদিন ৯ মার্চ। বাংলাদেশের যে কজন শিল্পী চিত্রকলার মাধ্যমে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন তিনি তাদের একজন।

তিনি ছিলেন সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলমের শিল্প নির্দেশক। এছাড়া চিত্রকলা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ষাণ্মাসিক পত্রিকার ‘শিল্প ও শিল্পী’র সম্পাদক মণ্ডলির সভাপতি ছিলেন তিনি।   

সাহিত্য, সংগীত ও চলচ্চিত্র নিয়েও তার আগ্রহ ছিল।

তেল রঙ, জল রঙ, মোম রঙ মাধ্যমে তিনি ছবি আঁকতেন। কোনো এক জায়গায় পড়েছিলাম ছবি আঁকার সময় তিনি লাল, নীল ও সবুজ রঙ বেশি ব্যবহার করতেন।

কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৩২ সালে ফেনি জেলার এক জমিদার পরিবারে জন্ম নেন। তার জন্মের সময় জমিদারী ছিল না। তবে শিক্ষা ও উদার পরিবেশ পেয়েছিলেন মানুষ হওয়ার জন্য।

বাবার চাকরির সুবাদে তিনি বাংলার বহু জায়গা ঘুরে বেড়িয়েছেন।

কাইয়ুম চৌধুরীর শৈশবের কিছু সময় কেটেছিল চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের নর্মান স্কুলে ভর্তিও হয়েছিলেন তিনি। এরপর আবার বদলি। চলে যান নড়াইলে। নড়াইলের চিত্রা নদীর তীরে কেটেছে তিন বছর। এখানে ভর্তি হন সন্দ্বীপ হাই স্কুলে ও পরে কারগিল স্কুলে। ১৯৪৯ সালে সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন।

ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকিতে ঝোঁক ছিল। ১৯৪৯ সালে তিনি আর্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। জয়নুল আবেদিনের ছাত্র ছিলেন তিনি।

১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নানা ধরণের ব্যবহারিক কাজ করেছেন এবং বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

১৯৫৭ সালে বৃটিশ কাউন্সেলের তরুণ কর্মকর্তা জিওফ্রে হেডলির আহ্বানে তিনি আমিনুর রহমান ও সৈয়দ জাহাঙ্গীরকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা সফরে যান। ওখানে ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে রেলওয়ে টাইম টেবিলের প্রচ্ছদ এঁকে পুরস্কার পান।

তিনি শেলকে পুরস্কার, সুলতানা পুরস্কার, একুশে পদকসহ দেশি বিদেশি বহু পুরস্কার পান।

২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি মারা যান।