স্বৈরাচার এরশাদের লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডাদের হাতে আদমজী পাটকল এলাকায় শহীদ হন তাজুল। ঘটনাটি ঘটে ১৯৮৪ সালের পহেলা মার্চে। তার স্মরণে প্রতি বছর এদিনে শহীদ তাজুল দিবস পালন করা হয়।

তিনি সিপিবির আদমজী শাখার সম্পাদক ও আদমজী মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।

এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৮৪ সালের পহেলা মার্চ ১৫ দল, সাত দল ও ১১টি শ্রমিক সংগঠন হরতালের ডাক দেয়। সেই হরতাল সফল করার লক্ষ্যে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আদমজী পাটকল এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাজুল। মিছিলে সন্ত্রাসীর আক্রমণে শহীদ হও তিনি।

তাজুল কুমিল্লা জেলার মতলব থানার ইখলাছি গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের ছেলে।

শৈশবেই মাকে হারান তিনি। এরপর মামার কাছে বড় হন।

ছাত্র হিসেবে তাজুল মেধাবী ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরিক্ষায় কুমিল্লার প্রথম স্থান লাভ করেন তিনি। মতলব হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। এইচএসসি পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন প্রথম বিভাগে।

১৯৬৮ সালে তাজুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে বি এ অনার্সে ভর্তি হন।

সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি গোপনে কমিউনিস্ট পার্টিতে আসেন। বিভিন্ন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে তার অবদান।