অনেক আগেই বর্ষা এসেছে। তবু যেদিনই বৃষ্টি নামে সেদিনই আমি গানটি গুনগনিয়ে উঠি, ‘মুক্তো মালার ছাতি মাথায় বৃষ্টি এলো রে, সারা গায়ে গোলাপ পানি ছিটিয়ে দিলো রে’।

বর্ষা অনেকেই পছন্দ করে না। আমারও কষ্টও হয় যখন শুনি প্রবল বর্ষণে বন্যা কবলিত মানুষের কষ্টের কথা। তবু গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের দিনে আমাদের দেশের মানুষ প্রার্থনা থেকে শুরু করে কত যে লৌকিক আচার পালন করে!

কোনো এলাকার মানুষ বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের দেয়। রুক্ষ ফসলের মাঠে এক পশলা বৃষ্টির জন্য এলাকার মানুষ বিশেষ নামাজের আয়োজন করে।

অবশেষে প্রকৃতি সদয় হলে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে। ময়ূর পেখম তুলে নাচে। গাছপালা পশুপাখি মনের আনন্দে ভিজতে থাকে। কৃষকের মুখে ফোটে হাসি।

সেই সাথে আমার মনেও রুমঝুম করে বেজে ওঠে বর্ষার গান। সবাই যখন একটানা বর্ষণে বিরক্ত, তখনও আমি বৃষ্টির সব আবদার মেনে নিতে রাজি। আমার প্রিয়তম ঋতু বর্ষা।

এ ঋতুতে ফোটে শাপলা, কেয়া, কদমের অপরূপ রূপ আর চারপাশ ভরে ওঠে সেগুলোর মোহনীয় গন্ধে।

তবে এবার বর্ষায় সারা দেশের বন্যা আমার আনন্দকে ম্লান করে দিচ্ছে। কত পরিবার, ফসল, গবাদি পশু ভাসছে জলে। শিশুরা আরও অসহায় এই বন্যায়। তারা আশ্রয়, একমুঠ খাবার আর একটি শুকনা কাপড়ের আশায় তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। এসো আমরা তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিই।

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে হ্যালোডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে, প্রকাশকাল: ২১ আগস্ট ২০১৭