TRENDING:

ভালো থেকো বাবা
আমি পাখি হবো
সব শিশুর আছে আলাদা ব্যক্তিত্ব...
Pritha Pronodona
  • Home
  • MY WRITING
  • My Art Work
  • Diary
  • News
  • Photograpy
  • Video
  • Activity

Select Page

সব শিশুর আছে আলাদা ব্যক্তিত্ব

Posted by pritha | Jun 22, 2016 | MY WRITING | 0

সব শিশুর আছে আলাদা ব্যক্তিত্ব
অটিস্টিক শিশু তামজিদ বিন ইসলাম জয়ের এখন বয়স ১৬। জন্ম থেকেই তাকে নিয়ে এক অজানা লড়াইয়ে নামেন তার মা হাসিবা হাসান জয়া। পরে তিনি একটি বেসরকারি সেবা সংস্থায় প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজও করছেন। তার সাথে প্রতিবন্ধী বা অন্যরকম শিশুদের বেড়ে ওঠা নিয়ে কথা হয় পৃথা প্রণোদনার।

হ্যালোঃ ছেলের নাম কেন জয় রাখলেন?

জয়াঃ ওকে ধারণ করেই আমি জেনেছি, কিছু শিশু আছে অন্যরকম, যাদের একটু বেশি সহযোগিতার প্রয়োজন। ভয়াবহ প্রথম ৫মাস কিন্তু তখন জার্মান মিজেলস/রুবেলা ইনফেকশন হাইলি আমার রক্তে যা আমার বাচ্চার জন্য খুবই ক্ষতিকর। তখনও আমাদের দেশে এর টিকা ছিল না। তাহলে হয়তো জয় আর অন্যরকম শিশু হতো না। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জয় হলো। যাকে বলে অপরিণত শিশু। আমার মা বললেন সব যুদ্ধ জয় করে ও বেঁচে আছে, পৃথিবীর আলো দেখছে, তাই ওর নাম জয়ই-থাকুক।

হ্যালোঃ কখন থেকে বুঝতে পারলে ও অন্যরকম শিশু?

জয়াঃ জয়ের সমস্যা বহুমুখী। ওর বয়স যখন ৪ মাস তখন বুঝতে পারলাম ও শব্দে চমকে ওঠে না, ডাক শুনে তাকায় না। ওর কানে শোনার সমস্যা ধরা পড়ে। ওর চোখেও সমস্যা, চোখে আলো বেশি লাগে। এছাড়াও ওর সমস্যা স্লো লার্নার। তাই একাডেমিক পড়াশোনায় ও অনেক পেছানো, এখন ওর বয়স ১৬। পড়ছে মাত্র ওয়ানে।

হ্যালোঃ জয়কে বড় করতে নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হয়েছে?

জয়াঃ দুবছর বয়সে জয় প্রচণ্ড চঞ্চল ও দুরন্ত হয়ে ওঠে। মা হিসেবে আমি তখন হতাশ ও অসহায়। কী করব, বাসায় অন্যদের সহযোগিতা, মা হিসেবে আমার অনভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে আমি পাগল প্রায়। জয় আমার কিছু বোঝে না, খায় না ঠিক মতো। ওর আচরণগুলো অন্য বাচ্চার মতো স্বাভাবিক নয়। আমার জানা নেই কার কাছে যাব, কোন পথে এগুবো। জয়কে বড় করতে আমি অনেক কিছুই শিখে নিয়েছি। ফলে এখন আমি জয়কে যেমন খুব সুন্দর করে বুঝি, আর দশটা শিশুকেও তেমনি বুঝি। এখন আর আমার মনে হয় না, অন্যরকম শিশুর মা আমি। মনে হয় জয়কে আমার মাঝে পেয়ে আমি অনেকগুলো স্বর্গের শিশু যেন পেয়েছি।

হ্যালোঃ ওর পড়াশোনার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হয়েছে?

জয়াঃ জয়ের চিকিৎসকরা বলেছিল ওকে নরমাল স্কুলে ভর্তি করতে। কিন্তু একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে গিয়ে ব্যর্থ হলাম। তারা জয়কে নিল না। আমি হাল ছাড়লাম না। জয়ের যেমন মা প্রয়োজন আমি নিজেকে তেমন করে তৈরি করতে থাকলাম। মা হিসেবে আমি ওকে সাহায্য করতাম। কোনো কিছু শেখাতাম না, বরং শেখার পরিবেশটা তৈরি করে দিতাম।

হ্যালোঃ ওর মেধার কথাও আমরা শুনতে চাই।

জয়াঃ জয় ওর নিজের মতো। ও কাগজ দিয়ে যেকোনো জিনিসই বানিয়ে ফেলতে পারে। একবার তো টিস্যুবক্স দিয়ে রেডিও বানিয়ে ফেলে। তা দেখে আমরা তো অবাক! ও যা দেখে, চাইলে তা সে কাগজ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারে।

হ্যালোঃ জয় এখন কেমন আছে?

জয়াঃ অনেক ভালো। জয় বেড়ে উঠেছে শুধু হাতে পায়ে নয়, মনে-বুদ্ধিতে। এখন আমার জয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বড়, ঠিক যেন আমার বাবার মতো। আমার মন খারাপ দেখলেই সে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। নিজে খাবার আগে মাকে খাইয়ে দিতে চায়। জয় আমার পৃথিবী। আমার জীবনের আলো।

হ্যালোঃ ওকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন?

জয়াঃ আর দশটা শিশুর মতোই জয় সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে, নিজে স্বাবলম্বী হবে এটা আমার স্বপ্ন।

হ্যালোঃ পেশাগত ক্ষেত্রেও আপনি জয়ের মতো শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন, আমাদের দেশে এ শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্দকতাগুলো কি কি?

জয়াঃ এ ধরণের শিশুদের সবদিক বিবেচনা ও সমন্বয় করে যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা যে সাহায্যকারী দল থাকা প্রয়োজন তা আমাদের এখানে নেই। প্রতিটি শিশুই আলাদা ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এটা আমরা খুব কম মানুষই জানি।

হ্যালোঃ জয়ের মতো শিশুদের প্রতি আমাদের করণীয় কি?

জয়াঃ অভিভাবকদের উচিত তাদের শিশুদের বোঝানো যে এই অন্যরকম শিশুরাও তাদের বন্ধু হতে পারে। এদের প্রতি কখনও কটূক্তি করা কিংবা খারাপ ব্যবহার করা উচিত নয়। এদের প্রতি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আচরণও সহনশীল হতে হবে। একটা সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলেই এ ধরণের শিশুরা নিজের মতো  করে বেড়ে উঠতে পারবে। এ শিশুদের উৎসাহ দেওয়া, সহযোগিতা করা এবং বিশ্বাস করা আমাদের দায়িত্ব। মনে প্রাণে মানতে হবে সবাই আমরা বন্ধু।

Share:

Previousআমি পাখি হবো
Nextপ্রথম শিশুচিকিৎসক এমআর খানের জন্মদিন

About The Author

pritha

pritha

Related Posts

বাড়ির পিঠা উৎসব

বাড়ির পিঠা উৎসব

23/06/2016

মাংসের পরিবর্তে পোকামাকড়

মাংসের পরিবর্তে পোকামাকড়

23/06/2016

মেয়েরাও মানুষ, অন্য প্রজাতি নয়

মেয়েরাও মানুষ, অন্য প্রজাতি নয়

22/06/2017

দাতাগণ শিশুদের ব্যবহার বন্ধ করুন

দাতাগণ শিশুদের ব্যবহার বন্ধ করুন

07/07/2018

Video

https://www.youtube.com/watch?v=qysn-ASXClw

পৃথা প্রণোদনা

Photo: Giacomo Pirozzi

Pritha Pronodona

Studies Microbiology at BRAC University .Former Child Journalist at Hello.bdnews24.com  From 24 october 2013 to 2020.

Winner Meena Media Award 2018 & Meena Media Award 2019.under-18 For Creative Work in Print/Online Media.Successfully completed BASIC & FOUNDATION COURSE OF PHOTOGRAPHY from PATHSHALA (south Asian Media Institute), STREET PHOTOGRAPHY WORKSHOP from Bishow

Meena Media Award 2019

Shahitto Kendro. Successfully attended Adolescent Development and Participation (ADAP) Regional Network Meeting held in Kathmandu,12-15 September 2017 which was arranged UNICEF Regional Office for South Asia. Successfully participated a workshop on `Photography for Adolescence’ organized by UNICEF Regional Office of South Asian and UNICEF Bangladesh at 2018. Successfully attended  workshop on Training on Techniques of Child Participation in  Electronic Media’ & `Follow up Training and Mentoring of Children Participating in Electronic Media(Part-I & II)’ under the `Advocacy and Communication for Children and Women (4th Phase) project held at Dhaka from arranged by National Institute of Mass Communication, Dhaka, Ministry of Information.

মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯

পৃথা প্রণোদনা

মাইক্রোবায়োলজিতে পড়াশোনা করছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে।শিশু সাংবাদিক হিসেবে  ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হ্যালো-তে। ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং’ ক্যাটাগরিতে ‘টাকার বিনিময়ে বন্ধকে শৈশব’ ও ‘দূর হোক লিঙ্গ বৈষম্য’ লেখার জন্য পৃথা ইউনিসেভ আয়োজিত মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড লাভ করে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে। পাঠশালা (সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনিস্টিটিউট) থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বেসিক ও ফাউন্ডেশন কোর্স। বাংলাদেশ গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) থেকে গ্রহণ করেছেন সাংবাদিকতার কয়েকটি বিশেষ কোর্স।

মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮

২০১৭ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ইউনিসেফ-এর ‘এডোলসেন্স ডেভলপমেন্ট পার্টিসিপেশন’ বিষয়ক চারদিনের সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৮ সালে ইউনিসেফ রিজওনাল অফিস অব সাউথ এশিয়ান এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ফটোগ্রাফি ফর এডোলসেন্স’ বিষয়ক ওয়ার্কশপ সফলতার সঙ্গে সমাপ্ত করেন। ‘স্টিট ফটোগ্রাফি’ বিষয়ক একদিনের ওয়ার্কশপ সমাপ্ত করেছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে। ছবি আঁকা, লেখালেখি, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় অবসর কাটানো পছন্দ ।  নিজের কাজ পরিশ্রমের মাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে সফলভাবে সম্পন্ন করাতে আগ্রহী বেশি। স্বপ্ন দেখেন বড় কোনো কাজ নিয়ে যা নিজের জীবনকে সার্থক করার পাশাপাশি মানুষের জন্যও কল্যাণ বয়ে আনবে।

e-mail                   Instragram                     Twitter

Recent Posts

  • এক কাপ চা (aesthetic jwellery)
  • Friends are reason of smile
  • টাকার বিনিময়ে বন্ধকে শৈশব ( মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ এ পুরস্কৃত লেখা)
  • শিশুর সামনে করো না জবাই
  • প্রাণের বন্ধুরা

Categories

  • Activity (13)
  • Diary (10)
  • My Art Work (2)
  • MY WRITING (100)
  • News (20)
  • Photograpy (2)
  • Uncategorized (1)
  • Video (14)

Recent Posts

  • এক কাপ চা (aesthetic jwellery)
  • Friends are reason of smile
  • টাকার বিনিময়ে বন্ধকে শৈশব ( মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ এ পুরস্কৃত লেখা)
  • শিশুর সামনে করো না জবাই
  • প্রাণের বন্ধুরা

Categories

  • Activity
  • Diary
  • My Art Work
  • MY WRITING
  • News
  • Photograpy
  • Uncategorized
  • Video

Search

Designed by Elegant Themes | Powered by WordPress