লেখক ব্রুকলিন রাইট সাত বছর বয়সেই ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অব আর্থ সেভার গার্ল’ নামে একটি বই লিখেছে। ছোটরা বইয়ের নায়কদের পছন্দ করবে এবং সেটা নিজেও অনুকরণ করবে এই ভাবনা থেকেই সে এই বইটি লেখার প্রেরণা পায়।
টাইম ফর কিডসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বইটিতে নয় বছরের মেয়ে ‘লায়লা’ একজন হিরো। সে বুঝতে পারে ছোট হলেও তার বিশেষ ক্ষমতা আছে এবং সে পারে এই পৃথিবীকে জঞ্জাল মুক্ত করতে। সে তার অভিযানে পৃথিবীর মানুষ ও অন্য প্রাণীদেরও রক্ষা করত।
এ বইয়ে ব্রুকলিন ছোটোদেরকে সবুজের কাছাকাছি যাওয়া, পশু-পাখিকে রক্ষা করা, একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং খেলার জন্য বাইরে যাওয়ার বিষয় শেখাতে চায়।
ব্রুকলিন এখন সিক্স স্ট্যান্ডার্ডে পড়ছে। এরমধ্যেই সে একশটির বেশি বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশ দূষণ সম্পর্ক সচেতন করেছে।
গত বছর সে তার সচেতনা মূলক কাজের জন্য ‘ইয়াং হিরো’ হিসেবে গ্লোরিয়া ব্যারন পুরস্কার পায়।
সে টাইমস ফর কিডসকে জনায়, এটা আমার মনে অসাধারণ অনুভূতি জাগিয়েছে। অন্যকে সাহায্য করা এখন আমার জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে।
ব্রুকলিন সিদ্ধান্ত নেয় যে তার লেখা বইয়ের মাধ্যমে সে মানুষকে জানাবে কিভাবে ময়লা ফেলার কারণে পৃথিবী দূষিত হচ্ছে।
সে মনে করে ছোটরাও পরিবর্তন আনতে পারে।
ব্রুকলিনের আর্থ সেভার গার্ল নামের একটি সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থাটি আগামী ২৫ জুলাই ২০১৪-এ তাদের জন্য প্রথম বার্ষিক ইকোনমি সামার ক্যাম্পের আয়োজন করবে।
এখানে ৬০ জন শিশু রাত্রিকালীন সামার ক্যাম্পের আয়োজনে অংশ নেবে। সেখানে ছয় থেকে আট বছরের শিশুরা পরিবেশ কার্যক্রম সম্পর্ক জানতে পারবে ও ক্যাম্প শেষে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী আর্থ সেভার সার্টফিকেট পাবে।