কয়েকদিন আগের কথা। আমাদের বাসায় হঠাৎ সন্ধ্যার সময় কলিং বেল বেজে উঠে। আমার ছোট বোন আদিবা দরজা খুলে দেখতে পায় আমার এক চাচ্চু তার পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন।

অনেক দিন পর তাদের দেখে আমরা খুব খুশি হলাম। উনারা অনেক দিন পর আমাদের বাড়িতে এলেন বলে সবাই খুশি।

আমার ওই চাচ্চুটার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েটার সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প হল। ও রাজধানীর একটি নাম করা স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

স্কুল সম্পর্কে বলতে গিয়ে এতো মন খারাপ করল ও আমার মনে হল এখুনি কেঁদে ফেলবে। আমার আগে থেকেই এই স্কুলটা সম্পর্কে ধারণা আছে। আমার জানা মতে এই স্কুলটাতে পড়াশোনার চাপ খুব বেশি।

ও বলল, আপু,আমার স্কুলে যেতে একদম ভালো লাগে না। আমাদের স্কুলে পড়াশোনার চাপ অনেক বেশি। সারাদিন খালি পড়া মুখস্ত করতে হয়। এরপর আবার যদি পড়া না পারি তাহলে মার খেতে হয়।

ও আরও বলে, আমার এই স্কুল একদম পছন্দ না। আমার সারাদিন কাটে কোচিং, টিচারের বাসা আর স্কুলের পড়া তৈরি করে।

ওর কথা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। এইটুকু শিশুর গায়ে আবার হত তোলে। আমি ভেবে পাই না তারা কেমন মানুষ যারা বাচ্চাদের নির্যাতন করে।

ও একেবারে নিজের শৈশবটাকে, স্কুল জীবনকে উপভোগ করতে পারছে না। এখন তো ওর স্কুলে যেতে ভালো লাগার কথা। ওখানে অনেক বন্ধু আছে, খেলতে পারে। অথচ এই বয়সেই স্কুলের ভয় ঢুকে গেছে মনে। মেয়েটা এখানে দশটা বছর কি করে পার করবে ভেবে পাই না।   

এই ছোট্ট শিশুটা তো একটুও বিনোদনের সুযোগ পায় না। ওর মানসিক স্বাস্থ্যের কি অবস্থা কে জানে? ওর পরিবার কি খবর রাখে এসবের?