বয়:সন্ধিকালে শিশুরা যাতে এইচআইভি এইডস সম্পর্ক সচেতন হতে পারে সেজন্য ইউনিসেফ এ বিষয়ে সচেতনতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

যেহেতু বাংলাদেশ একটি নিম্ন প্রতিরোধমূলক দেশ তাই  সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইউনিসেফ সারাদেশের দশটি জেলায় জীবন দক্ষতামূলক পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর জন্য কাজ করছে। এর ফলে কিশোর কেন্দ্র ও শ্রমজীবী শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিশুরা এইচআইভি সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।

২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এইচআইভি এইডস বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে সবরকম সহযোগিতা প্রদান করেছে।

যেসব গর্ভবতী নারীর শরীরে এইডস রয়েছে তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য কাজ করছে ইউনিসেফ । সংক্রামিত নারী, তাদের স্বামী ও সন্তানদের সহযোগিতার জন্য এই প্রকল্পে নির্বাচিত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ, বিশেষ চিকিৎসা শিক্ষা, স্বেচ্ছাসেবী পরামর্শক, টেস্টিং সার্ভিস চালু রয়েছে। এর ফলে বর্তমানে শতকরা ৪৮জন নারী জানে গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকে এইচআইভির জীবাণু মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে সংক্রামিত হতে পারে।  

৪৪টি জেলায় ১৪৬টি ড্রপ-ইন সেন্টারের মাধ্যমে ইউনিসেফ এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে এই ভাইরাসের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সচেতনতার জন্য কাজ করছে। এদের মধ্যে রয়েছে মাদক ব্যবহারকারী, ভাসমান জনগোষ্ঠী, যৌনকর্মী ও তাদের গ্রাহক, জোরপূর্বক বাধ্যকরা শিশু যৌনকর্মী।

এই কেন্দ্রগুলো যে সেবাগুলো দেয় সেগুলো হলো-যৌন সংক্রামিত রোগের চিকিৎসাসহ সংকটকালীন আশ্রয়, পরামর্শ প্রদান, স্বাস্থ্যশিক্ষা, বিশ্রাম ও বিনোদন সুবিধা এবং পুনর্বাসন সেবা।

২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলো থেকে ৬.৬ মিলিয়নেরও বেশি কনডম, ২মিলিয়ন সিরিঞ্জ এবং ১.৩ মিলিয়ন সূঁচ বিতরণ করা হয়।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কেন্দ্রগুলোর দায়িত্ব নিলে ড্রপ-ইন সেন্টার কার্যক্রম থেকে ইউনিসেফ নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।