শীত এলেই পড়ে যায় পিঠা খাওয়ার ধুম। আর দলবেঁধে বসে পিঠা খাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।

পরপর তিন দিন ছুটি। শীতও পড়েছে বেশ জাঁকিয়ে। আমি আর বাবা মিলে ঠিক করি পিঠা খাওয়ার আয়োজন করব এবার বাড়িতেই। বাবার কয়েকজন বন্ধুর পরিবারকে বলা হলো। তারাও রাজি হয়ে গেলেন। আশাপাশের আমার কয়েকজন বন্ধুকে বললাম।

২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার আর সেদিনই আমরা আমাদের মতো করে বাড়িতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করি। বিকেলের দিকে প্রতিটি পরিবার প্রত্যেকেই তিন ধরণের পিঠা নিয়ে হাজির হয়। তেল পিঠা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, তিলের পিঠা, কুলি পিঠা, খির পিঠা, ঝাল পিঠা আরও অনেক পিঠা ছিল আয়োজনে।

ভেজানো পিঠা দেখেলেই মুখে জল এসে যায়। আমাদের বাসায় দিদা ভাপা পিঠা গরম গরম তৈরি করে সবাইকে খেতে দেয়। আমরা পিঠা খেতে খেতে খুব মজা করি।

এ পিঠা উৎসবে একটা সুবিধা আছে। যারা একদমই পিঠা তৈরি করতে পারে না, তাদেরও পিঠা বানানোর একটা অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। আর পিঠা বানানো দেখে আমাদেরও এক ধরণের আগ্রহ জাগে। বাঙালির এই সংস্কৃতিটা অন্যরকম। সবাই মিলে পিঠা উৎসবে পিঠা খাওয়ার আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না। ইশ্‌, আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে যদি পিঠা উৎসব হতো, তাহলে বন্ধুরা মিলে আরও মজা করতে পারতাম।